ভারতীয় হেঁশেলে রসুন খুবই পরিচিত ও ব্যবহৃত মশলা। সেলেনিয়াম, ফ্ল্যাভোনয়েড-সহ নানা উপাদানে ভরপুর রসুনকে বলা হয় পুষ্টির পাওয়ার হাউস। যা সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয়। অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য শীতকালে ডায়েটে রসুন রাখতেই হবে।
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণের জন্য রসুন সর্দিকাশির উপশম করে। পলে শীতে রসুন শরীরের সুস্থতা বজায় রাখে। যে কোনও সিজন চেঞ্জের সময় রসুন অত্যন্ত উপকারী।
পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত রসুন খেলে হৃদযন্ত্র ভাল থাকে। কার্ডিওভাসক্যুলার রোগ থেকে দূরে রাখে শরীরকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা, উচ্চরক্তচাপ, ব্লাড সুগার-সহ নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ন্ত্রিত হয় রসুনের গুণে।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, সালফার যৌগ থাকার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে রসুন। জীবাণু প্রতিরোধে রসুন অব্যর্থ। রান্নার মাধ্যমে রসুন খাওয়াই যায়। তবে সবথেকে ভাল কাঁচা রসুন খাওয়া।
স্বাস্থ্যকর ভাবে মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে রসুনের নানা উপাদান। ডিটক্সে সাহায্য করে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে রসুন। শীতকালে বাড়তি ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা এড়াতে রসুন খান নিয়মিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের সকালে মধু ও রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যকর।