পোস্ট অফিসই সম্ভবত একমাত্র জায়গা যেখানে গ্যারান্টি সহযোগে টাকা দ্বিগুণ হয়। মিউচুয়াল ফান্ড কিংবা স্টকে বিনিয়োগ করেও টাকা ডবল করা যায়। সময়ও অপেক্ষাকৃত কম লাগে। কিন্তু ঝুঁকি প্রবল। ফলে ছোট বিনিয়োগকারীরা ভরসা করতে পারেন না। কিন্তু পোস্ট অফিসের ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলো এমন নয়। বিনিয়োগ করা অর্থ নিরাপদে থাকে, টাকাও ডবল হয়।
সোজা কথায়, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগকারী যে অর্থ জমা করে তা নিশ্চিতভাবেই ভারত সরকার ফেরত দেবে, এমনকী ডিফল্ট হলেও। পোস্ট অফিসের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলেও টাকা মার যাবে না। দেশের সেরা ব্যাঙ্কের প্রকল্পগুলির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে, পোস্ট অফিসের কিষাণ বিকাশ পত্রের মতো ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিমে সুদের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। টাকা দ্বিগুণ করার ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের কোনও বিকল্প নেই।
যদিও বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার কমিয়েছে, কিন্তু তারপরেও কিষাণ বিকাশ পত্রের মতো স্কিমগুলো ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের চেয়ে লাভজনক। এই স্কিমে এখনও ১২৪ মাসের মেয়াদে টাকা দ্বিগুণ করা যায়।
আগে কিষাণ বিকাশ পত্রের মেয়াদ ছিল ১১x৩ মাস। তবে বর্তমানে এই সময়কাল ১২৪ মাসে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বার্ষিক সুদের হারও কমেছে। ৭.৬ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৯ শতাংশ। কিষাণ বিকাশ পত্রে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং নিশ্চিত রিটার্নের গ্যারান্টি দেয় খোদ সরকার।
কিষাণ বিকাশ পত্র কেনার সময় প্রাপ্ত সুদের হার বিনিয়োগের সময়কাল জুড়ে স্থির থাকে। অর্থাৎ যদি কেউ ২০২৩-এর জানুয়ারি মাসে কিষাণ বিকাশ পত্রের অ্যাকাউন্ট খোলার সময় ৭.৬ শতাংশ হারে সুদ পান এবং মার্চ মাসে সুদের হার বাড়ে কিংবা কমে, তাহলেও সেই বিনিয়োগকারী তাঁর বিনিয়োগের সময়কাল জুড়ে ৭.৬ শতাংশ হারে সুদ পাবেন।
সুতরাং সুদের হার কমলেও পোস্ট অফিসের কিষাণ বিকাশ পত্রে টাকা দ্বিগুণ করা যায়। নতুন মেয়াদে ১২৪ মাস অর্থাৎ ১০ বছর এবং চার মাসের সমান। অর্থাৎ যদি আজ কোনও বিনিয়োগকারী কিষাণ বিকাশ পত্রে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে মেয়াদপূর্তিতে অর্থাৎ ১২৪ মাস পর তিনি ২০ হাজার টাকা ফেরত পাবেন। পোস্ট অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও এই স্কিমকে ‘পোস্ট অফিস ডবল মানি স্কিম’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।