বিনিয়োগ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত- পয়সা মার যাওয়ার ভয় কোনও দিক থেকেই নেই। কেন না, এ খোদ সরকার দ্বারা পোষিত। ফলে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ অ্যাকাউন্ট বহু বছর ধরেই দেশের উপার্জনশীল নাগরিকের বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান অবলম্বন।
কিন্তু বিনিয়োগ যে রকম-ই হয়ে থাকুক না কেন, তার সবার সঙ্গে একটা সাধারণ প্রশ্ন সব সময়েই জড়িয়ে থাকে। যদি আচমকা টাকার দরকার হয়? তখন ম্যাচিউর করুক আর না-ই করুক, বিনিয়োগ করা টাকাটা কি তুলে নেওয়া যাবে?
এই একই প্রশ্ন পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও খাটে। এক্ষেত্রে এই বিনিয়োগ এবং তার সময়সীমা সংক্রান্ত কিছু বিষয় জেনে রাখা ভাল।
পিপিএফ অ্যাকাউন্টের টাকা বিনিয়োগের কত বছর পরে ম্যাচিউর করে? এক্ষেত্রে টাকা খাটানোর পরে বিনিয়োগকারীকে ১৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়। এটাই পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ম্যাচিউরিটি পিরিয়ড। এই ১৫ বছর পূর্ণ হলে তার পর সুদে-আসলে একটা মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্টে ঢোকে।
তাহলে কি ১৫ বছরের ম্যাচিউরিচি পিরিয়ড শেষ না হলে পিপিএফ অ্যাকাউন্টের টাকা তুলে নেওয়া যায় না? যায় বইকি! আপৎকালে যাতে মাথায় হাত না পড়ে বিনিয়োগকারীর, সেই জন্য ম্যাচিউরিটির আগে পিপিএফ অ্যাকাউন্টের টাকা তুলে নেওয়া যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রেও কিছু শর্ত রয়েছে। সেগুলো কী, দেখে নেওয়া যাক এক এক করে।
- টাকা বিনিয়োগ করার পরে যত দিন পর্যন্ত না ৫টি আর্থিক বছর পেরোচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত পিপিএফ অ্যাকাউন্টের টাকা তোলা যাবে না। এই ৫ আর্থিক বছর পেরিয়ে এলে কেবল তিন জরুরি পরিস্থিতিতেই অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করে টাকা উইথড্রয়ালের সুবিধা দেওয়া হয়। - বিনিয়োগকারী নিজের, স্ত্রী/স্বামীর, তাঁর উপার্জনের উপরে নির্ভরশীল সন্তান/পিতা-মাতার অসুস্থতার ব্যয়নির্বাহের জন্য অসুস্থতা এবং খরচ সংক্রান্ত উপযুক্ত নথি জমা দিলে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ক্লোজিং এবং টাকা উইথড্রয়ালের সুবিধা পাওয়া যায়। - দেশ হোক বা বিদেশ- সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য টাকা খাটানোর ৫ আর্থিক বছর পরে উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করলে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ক্লোজিং এবং টাকা উইথড্রয়ালের সুবিধা পাওয়া যায়। - বিনিয়োগকারীর মৃত্যু হলে প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার সাপেক্ষে নমিনি বা আইনত যোগ্য উত্তরাধিকারীকে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ক্লোজিং এবং টাকা উইথড্রয়ালের সুবিধা দেওয়া হয়।
কীভাবে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করে দিয়ে টাকা উইথড্র করা যায়? প্রিম্যাচিউর ক্লোজিং রিকোয়েস্টের ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে যথাযথ ভাবে পূরণ করা ফর্ম সি জমা দিতে হয় যে ব্যাঙ্কে বা পোস্ট অফিসে তাঁর পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল সেখানে। এর পর কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করে দেন এবং টাকা বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়।